শেয়ার বাজার কি ?(What is Stock Market ?)

Published by thelogicblog.com on

শেয়ার বাজার কি

শেয়ার বাজার কি বোলতে বোঝে এটি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেখানে কোম্পানিগুলি তাদের শেয়ার বিক্রি করে। শেয়ারগুলি হল কোম্পানির মালিকানা অংশ যা বিনিয়োগকারীরা কিনতে পারেন। শেয়ার বাজারের মাধ্যমে, বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং কোম্পানির সাফল্য থেকে লাভবান হতে পারেন।

Table of Contents

শেয়ার বাজার কি ? মূলনীতিগুলি নিম্নরূপ:

শেয়ারগুলি কী?

শেয়ারগুলি হল কোম্পানির মালিকানা অংশ যা বিনিয়োগকারীরা কিনতে পারেন। শেয়ারগুলি কোম্পানির সম্পত্তি এবং মুনাফার একটি অংশের মালিকানা দেয়। শেয়ারগুলির দুটি মূল ধরন রয়েছে: সাধারণ শেয়ার এবং প্রিমিয়াম শেয়ার।
সাধারণ শেয়ার: সাধারণ শেয়ারগুলি কোম্পানির সর্বনিম্ন স্তরের মালিকানা। সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির পরিচালনায় ভোট দেওয়ার অধিকার রাখেন এবং কোম্পানির মুনাফা থেকে লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার রাখেন। তবে, সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির দেউলিয়া হয়ে গেলে ক্ষতির ক্ষেত্রে সর্বশেষ অর্থ পান।
প্রিমিয়াম শেয়ার: প্রিমিয়াম শেয়ারগুলি সাধারণ শেয়ারগুলির চেয়ে বেশি সুবিধা দেয়। প্রিমিয়াম শেয়ারধারীরা সাধারণ শেয়ারধারীদের তুলনায় বেশি লভ্যাংশ পান এবং কোম্পানির দেউলিয়া হয়ে গেলে ক্ষতির ক্ষেত্রে আগের অর্থ পান।

প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বাজার:

প্রাথমিক বাজার: প্রাথমিক বাজারে, নতুন কোম্পানিগুলি তাদের প্রথমবার শেয়ার বিক্রি করে। প্রাথমিক বাজারে শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়াটিকে “প্রাথমিক পাবলিক অফারিং” (IPO) বলা হয়।
মাধ্যমিক বাজার: মাধ্যমিক বাজারে, ইতিমধ্যেই বাজারে থাকা শেয়ারগুলি কেনা এবং বিক্রি করা হয়। মাধ্যমিক বাজারে শেয়ার কেনা এবং বিক্রি করার প্রক্রিয়াটিকে “ট্রেডিং” বলা হয়।

শেয়ার এক্সচেঞ্জ কী?

শেয়ার বাজার এক্সচেঞ্জ

শেয়ার এক্সচেঞ্জ হল একটি প্রতিষ্ঠান যা শেয়ার বাজারে লেনদেনকে সুবিধার্থ করে। শেয়ার এক্সচেঞ্জগুলি শেয়ারের দাম নির্ধারণ করে এবং শেয়ার কেনা এবং বিক্রি করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।
NSE এবং BSE হল ভারতের দুটি প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ।

NSE হল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া,

এবং BSE হল বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ।

NSE এবং BSE মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ:

প্রতিষ্ঠা: NSE 1992 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং BSE 1875 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা: NSE-তে 1,500 টিরও বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে, এবং BSE-তে 5,000 টিরও বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
ট্রেডিং ভলিউম: NSE-তে BSE-এর তুলনায় বেশি ট্রেডিং ভলিউম হয়।
ট্রেডিং পদ্ধতি: NSE একটি ইলেকট্রনিক স্টক এক্সচেঞ্জ, এবং BSE একটি ওপেন-আউট ক্রাই স্টক এক্সচেঞ্জ।
ঝুঁকি: NSE-কে BSE-এর তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
বিস্তারিত পার্থক্য:

প্রতিষ্ঠা: NSE 1992 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং BSE 1875 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। NSE হল ভারতের প্রথম ইলেকট্রনিক স্টক এক্সচেঞ্জ, এবং এটি ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিপ্লব ঘটিয়েছে। BSE হল ভারতের প্রাচীনতম স্টক এক্সচেঞ্জ, এবং এটি ভারতীয় শেয়ার বাজারের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা: NSE-তে 1,500 টিরও বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে, এবং BSE-তে 5,000 টিরও বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। NSE-তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে বেশিরভাগই বড় এবং মাঝারি আকারের কোম্পানি। BSE-তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে ছোট এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলির সংখ্যা বেশি।
ট্রেডিং ভলিউম: NSE-তে BSE-এর তুলনায় বেশি ট্রেডিং ভলিউম হয়। NSE-তে প্রতিদিন গড়ে প্রায় 50,000 কোটি টাকার ট্রেডিং হয়। BSE-তে প্রতিদিন গড়ে প্রায় 25,000 কোটি টাকার ট্রেডিং হয়।
ট্রেডিং পদ্ধতি: NSE একটি ইলেকট্রনিক স্টক এক্সচেঞ্জ, এবং BSE একটি ওপেন-আউট ক্রাই স্টক এক্সচেঞ্জ। NSE-তে ট্রেডিংগুলি একটি কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। BSE-তে ট্রেডিংগুলি একটি আর্থিক ব্রোকারদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ঝুঁকি: NSE-কে BSE-এর তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। NSE-তে ট্রেডিংগুলি একটি ইলেকট্রনিক সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা ট্রেডিংয়ের স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করে। BSE-তে ট্রেডিংগুলি একটি আর্থিক ব্রোকারদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা ট্রেডিংয়ে কিছুটা ঝুঁকি বাড়ায়।
শেয়ার বাজারে কোন স্টক এক্সচেঞ্জটি আপনার জন্য সঠিক?

এই দুটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ভারতীয় শেয়ার বাজারে স্টক ট্রেড করা হয়। এটি নির্ভর করে আপনার বিনিয়োগের লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতা উপর। আপনি যদি একটি বড় এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে NSE আপনার জন্য একটি ভাল পছন্দ হতে পারে। আপনি যদি একটি ছোট এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে BSE আপনার জন্য একটি ভাল পছন্দ হতে পারে। আপনি যদি কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে NSE আপনার জন্য একটি ভাল পছন্দ হতে পারে।

শেয়ার বাজার কি জান্তে

শেয়ার কেনাবেচার প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:

ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা:

শেয়ার কেনাবেচার জন্য, আপনাকে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট হল একটি ইলেকট্রনিক অ্যাকাউন্ট যা শেয়ার এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য, আপনাকে একজন ব্রোকারেজ হাউসের সাথে নিবন্ধন করতে হবে। ব্রোকারেজ হাউসগুলি সাধারণত ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট প্রদান করে।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য, আপনাকে সাধারণত নিম্নলিখিত নথিগুলি প্রদান করতে হবে:
• একটি পরিচয় প্রমাণ, যেমন একটি পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা আধার কার্ড নম্বর
• একটি ঠিকানা প্রমাণ, যেমন একটি ইউটিলিটি বিল বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ,নিজস্ব মোবাইল নং
• একটি আয় প্রমাণ, যেমন প্যান কার্ড ,একটি বেতন স্লিপ বা আয়কর রিটার্ন
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক দিন সময় নেয়।

ট্রেডিং ব্রোকার নির্বাচন করা:

ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার পরে, আপনাকে একটি ট্রেডিং ব্রোকার নির্বাচন করতে হবে। ট্রেডিং ব্রোকার হল একটি সংস্থা যা ব্যবসায়ীদেরকে সিকিউরিটিজজে লেনদেন করার সুযোগ প্রদান করে।
ট্রেডিং ব্রোকার নির্বাচন করার সময়, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করুন:
• ব্রোকারেজ शुल्क
• ট্রেডিং কমিশন
• ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম
• গ্রাহক সেবা

এখোন আপনি একেই সাথে ডিম্যাট ও ট্রেডিং ব্রোকার নির্বচন করতে পারবেন ?

শেয়ার বাজারে শেয়ার কেনাবেচার জন্য ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম ও ব্রোকার:

ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম এবং ব্রোকার দুটি মূলত শেয়ার বা অন্যান্য আর্থিক সূচক ট্রেড করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি ও সেবা সরবরাহ করে।
ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম:

  1. অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম: ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম হল এমন একটি সফ্টওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন যেখানে ব্যক্তিরা শেয়ার বা অন্যান্য আর্থিক সূচক ট্রেড করতে পারেন। এটি কেনাকাটা, সংশ্লিষ্ট তথ্য অ্যাক্সেস, চার্ট এনালাইসিস, মার্কেট ডাটা এবং ট্রেড অর্ডার প্রসেসিং সরবরাহ করে।
  2. বিভিন্ন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম: ব্রোকার কোম্পানিগুলি বিভিন্ন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে, যেগুলি আপনার বিনিয়োগের প্রকৃতি, সুবিধা, প্রয়োজনীয়তা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেছে নিতে পারেন।
    ব্রোকার:
  3. ব্রোকার কোম্পানি: এটি একটি প্রতিষ্ঠান যা ব্যক্তিদের শেয়ার বা অন্যান্য আর্থিক সূচক কিনতে সাহায্য করে। এই কোম্পানিরা ব্রোকারের সেবা দেয় এবং ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সাপোর্ট ও সুবিধা সরবরাহ করে।
  4. ব্রোকারের ফি এবং সেবা: ব্রোকার কোম্পানিরা ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে এবং প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের অনুযায়ী ব্রোকারের ফি আদায় করে।
    এই দুটি জায়গায় ব্রোকার এবং ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য সহায়ক উপায় গুলি তৈরি করে ব্যক্তিদের শেয়ার বা অন্যান্য আর্থিক সূচক ট্রেড করার জন্য। ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তা এবং উপযুক্ত প্রয়োজনীয় সাপোর্ট অনুমোদন করার জন্য ব্রোকার এবং ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে।

ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের সুবিধাগুলি হল:

• এটি আপনাকে শেয়ার কিনতে, বিক্রি করতে এবং ট্রেড করতে দেয়।
• এটি আপনাকে অনলাইনে শেয়ার ট্রেড করার সুবিধা দেয়।
• এটি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে লেনদেনের সুযোগ দেয়।

ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের অসুবিধাগুলি হল:

• এটি একটি জটিল পণ্য এবং এটি বুঝতে কিছু সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন হতে পারে।
• আপনি শেয়ার ট্রেড করার সময় অর্থ হারাতে পারেন।
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলার আগে, আপনার নিজের গবেষণা করুন এবং ঝুঁকিগুলি বোঝার জন্য একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করুন।

ভারতে, ট্রেডিং অ্যাকাউন্টগুলি সাধারণত নিম্নলিখিত ধরণের হয়:
ইক্যুইটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট: এই অ্যাকাউন্টগুলি শেয়ার, ডিবেঞ্চি এবং অন্যান্য ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ কেনা এবং বিক্রি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডেরিভেটিভস ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট: এই অ্যাকাউন্টগুলি ফিউচারস, অপশন এবং অন্যান্য ডেরিভেটিভস কেনা এবং বিক্রি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
মিউচুয়াল ফান্ড ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট: এই অ্যাকাউন্টগুলি মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট কিনতে এবং বিক্রি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আপনার বিনিয়োগ লক্ষ্য এবং কৌশল অনুসারে আপনার জন্য সঠিক ধরণের ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

শেয়ার বাজার কি এবং শেয়ার মূল্যের উপর নিচ হবার কারণসমূহ

শেয়ার মূল্যের উপর নিচ হবার কারণসমূহ:

শেয়ার মূল্য নির্ধারণের অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:


সরবরাহ এবং চাহিদা: শেয়ারের দাম সরবরাহ এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে। শেয়ারের চাহিদা বেশি হলে দাম বেশি হবে এবং শেয়ারের চাহিদা কম হলে দাম কম হবে।
কোম্পানির পারফরম্যান্স: কোম্পানির পারফরম্যান্স শেয়ারের দামের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেলে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে এবং কোম্পানির মুনাফা হ্রাস পেলে শেয়ারের দাম কমতে পারে।
অর্থনৈতিক অবস্থা: অর্থনৈতিক অবস্থাও শেয়ারের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক মন্দা হলে শেয়ারের দাম কমতে পারে।
• সুদের হার: সুদের হারও শেয়ারের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সুদের হার বৃদ্ধি পেলে শেয়ারের দাম কমতে পারে কারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের চেয়ে সুদের হারে বেশি রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ পান।
• রাজনৈতিক পরিস্থিতি: রাজনৈতিক পরিস্থিতিও শেয়ারের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা হলে শেয়ারের দাম কমতে পারে।
শেয়ার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই কারণগুলির পাশাপাশি অন্যান্য কারণগুলিও বিবেচনা করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনাও শেয়ারের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি:

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সাথে ঝুঁকি জড়িত। শেয়ারের দাম হ্রাস পেতে পারে, যার ফলে আপনি আপনার বিনিয়োগের কিছু বা সমস্ত অর্থ হারাতে পারেন।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকিগুলির মধ্যে রয়েছে:
• মূল্যের অস্থিরতা: শেয়ারের দাম দ্রুত ওঠানামা করতে পারে। এর মানে হল যে আপনি আপনার বিনিয়োগের মূল্য দ্রুত হারাতে পারেন।
• অর্থনৈতিক মন্দা: অর্থনৈতিক মন্দার সময়, শেয়ারের দাম সাধারণত কমে যায়। এর মানে হল যে আপনি আপনার বিনিয়োগের মূল্য হারাতে পারেন।
• কোম্পানির ব্যর্থতা: কোম্পানিগুলি ব্যর্থ হতে পারে। এর মানে হল যে আপনি আপনার বিনিয়োগের সম্পূর্ণ মূল্য হারাতে পারেন।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকিগুলি বুঝতে এবং পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করে ঝুঁকি কমাতে পারেন:
• আপনার বিনিয়োগ লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতা নির্ধারণ করুন।
• আপনার বিনিয়োগের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
• বিভিন্ন কোম্পানি এবং শিল্পে বিনিয়োগ করুন।
• নিয়মিত আপনার পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করুন।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ একটি ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগ, তবে এটি ভাল রিটার্নের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদি আপনি ঝুঁকি গ্রহণ করতে প্রস্তুত হন এবং আপনার গবেষণা করেন তবে আপনি শেয়ার বাজারে সফল হতে পারেন।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার টিপস

শেয়ার বাজার শুরু করার জন্য, এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল:

• আপনার বিনিয়োগ লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতা নির্ধারণ করুন। আপনি আপনার বিনিয়োগের সাথে কী অর্জন করতে চান তা নির্ধারণ করুন। আপনি দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদী রিটার্ন চান? আপনি কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত? আপনার লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতা নির্ধারণ করা আপনাকে সঠিক বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করতে সহায়তা করবে।
• আপনার বিনিয়োগের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপনার বিনিয়োগ লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে একটি বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপনার পরিকল্পনাটিতে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ, আপনি যে কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করতে চান এবং আপনি কতটা নিয়মিত আপনার পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করবেন তা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
• শেয়ার বাজার কি সম্পর্কে শিখুন। শেয়ার বাজার সম্পর্কে যতটা সম্ভব শিখুন। শেয়ার কেনা এবং বিক্রি করার প্রক্রিয়া, শেয়ার মূল্য নির্ধারণের কারণ এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে জানুন। আপনি বই, অনলাইন কোর্স এবং অন্যান্য রিসোর্স থেকে শিখতে পারেন।
• একজন ট্রেডিং ব্রোকার নির্বাচন করুন। একটি ট্রেডিং ব্রোকার আপনাকে শেয়ার কেনা এবং বিক্রি করতে সহায়তা করবে। একটি ব্রোকার নির্বাচন করার সময়, ব্রোকারেজ शुल्क, ট্রেডিং কমিশন এবং গ্রাহক সেবা বিবেচনা করুন।
• ছোট ছোট পদক্ষেপে শুরু করুন। একবারে প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করা বিপজ্জনক হতে পারে। ছোট ছোট পদক্ষেপে শুরু করুন এবং আপনার বিনিয়োগ অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ান।
শেয়ার বাজারে শুরু করার জন্য সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে। আপনার গবেষণা করুন, ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং ধৈর্য ধরুন।

শেয়ার বাজার কি আমরা জানলাম, এতে ইনভেস্ট করার সুবিধা এবং অসুবিধা:

স্টক মার্কেট এ ইনভেস্ট করার সুবিধা:

উচ্চতর রিটার্ন: স্টক মার্কেট বিনিয়োগের একটি বড় সুবিধা হল এটি উচ্চতর রিটার্ন প্রদান করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে, স্টক মার্কেটের রিটার্ন অন্যান্য বিনিয়োগের তুলনায় বেশি থাকে।
বৈচিত্র্যকরণ: স্টক মার্কেট বিনিয়োগ আপনাকে আপনার বিনিয়োগের বিস্তৃতকরণ করতে দেয়। এটি আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি বা শিল্পের উপর অতিরিক্ত ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
তরলতা: স্টক মার্কেট বিনিয়োগ তরল। আপনি যেকোনো সময় আপনার বিনিয়োগ বিক্রি করতে পারেন।

স্টক মার্কেট এ ইনভেস্ট করার অসুবিধা:

ঝুঁকি: স্টক মার্কেট বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। শেয়ারের দাম ওঠানামা করতে পারে, এবং আপনি আপনার বিনিয়োগের কিছু বা সমস্তটা হারাতে পারেন।
কঠোর কাজ: স্টক মার্কেট বিনিয়োগে সাফল্যের জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে আপনার রিসার্চ করতে হবে, কোম্পানিগুলির মূল্যায়ন করতে হবে এবং বাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োজন: স্টক মার্কেট বিনিয়োগে সাফল্যের জন্য আপনাকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভাল জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকতে হবে।
স্টক মার্কেট এ ইনভেস্ট করার আগে, আপনার বিনিয়োগের লক্ষ্য, ঝুঁকি সহনশীলতা এবং আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন নতুন বিনিয়োগকারী হন, তাহলে একজন অভিজ্ঞ ব্রোকার বা উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

(F&Q)শেয়ার বাজার কি সম্পর্কিত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী:

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি কী?

শেয়ার বাজার কি এবং বিনিয়োগের ঝুঁকি কী?

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সাথে ঝুঁকি জড়িত। শেয়ারের দাম হ্রাস পেতে পারে, যার ফলে আপনি আপনার বিনিয়োগের কিছু বা সমস্ত অর্থ হারাতে পারেন।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকিগুলির মধ্যে রয়েছে:
• মূল্যের অস্থিরতা: শেয়ারের দাম দ্রুত ওঠানামা করতে পারে। এর মানে হল যে আপনি আপনার বিনিয়োগের মূল্য দ্রুত হারাতে পারেন।
• অর্থনৈতিক মন্দা: অর্থনৈতিক মন্দার সময়, শেয়ারের দাম সাধারণত কমে যায়। এর মানে হল যে আপনি আপনার বিনিয়োগ শুরু করুন ।

শেয়ার বাজারে টাকা খাটিয়ে আয় করতে চাইছেন?

শেয়ার বাজারে টাকা খাটিয়ে আয় করতে চাইছেন?

হ্যাঁ, আমি শেয়ার বাজারে টাকা খাটিয়ে আয় করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি যে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ একটি ভালো উপায় হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে, আমি আশা করি আমি আমার বিনিয়োগের মূল্য বাড়াতে পারি এবং দীর্ঘমেয়াদে লাভ করতে পারি। আমি বুঝতে পারি যে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সাথে ঝুঁকি জড়িত, তবে আমি বিশ্বাস করি যে ঝুঁকিটি গ্রহণের মূল্য রয়েছে।
আমি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেব:
• দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ: আমি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমি কী অর্জন করতে চাই তা নির্ধারণ করব। আমি কি অবসর গ্রহণের জন্য অর্থ জমা করতে চাই, একটি সম্পত্তি কেনার জন্য অর্থ জমা করতে চাই, বা অন্য কিছু? আমার লক্ষ্যগুলি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা আমাকে সঠিক বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করতে সহায়তা করবে।
• সঠিক গবেষণা করা: আমি যে কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করতে চাই সেগুলি সম্পর্কে যথেষ্ট গবেষণা করব। আমি কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য, পরিচালনার দক্ষতা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলি বিবেচনা করব।
• বিভিন্নতা আনুন: আমি আমার বিনিয়োগগুলিকে বিভিন্ন কোম্পানি এবং শিল্পে বিস্তৃত করতে চাই। এটি আমার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
• নিয়মিত পর্যালোচনা করুন: আমি আমার বিনিয়োগগুলিকে নিয়মিত পর্যালোচনা করব এবং প্রয়োজনে আমার কৌশলটি সামঞ্জস্য করব।
আমি বিশ্বাস করি যে এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়া আমাকে শেয়ার বাজারে সফল বিনিয়োগকারী হতে সাহায্য করবে।
• শেয়ার বাজারের খবর এবং তথ্য রাখুন: শেয়ার বাজারের খবর এবং তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি আপনার বিনিয়োগগুলি আপ-টু-ডেট রাখতে পারেন। আপনি সংবাদপত্র, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য সোর্স থেকে এই তথ্যগুলি পেতে পারেন।
বাংলায় শেয়ার বাজার কি জান্তে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু সংস্থান দেওয়া হল:
• বই:
o শেয়ার বাজারের হাতেখড়ি, সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জী
o শেয়ার বাজারে টিকে থাকার কৌশল
o শেয়ার বাজারে সফল বিনিয়োগ
• অনলাইন কোর্স:
ইউটিউব চ্যানেল -শেয়ার বাজার শিখুন
o শেয়ার বাজারের খবর এবং তথ্য, ওয়েবসাইট “শেয়ার বাজার নিউজ”
আপনি এই সংস্থানগুলি থেকে শুরু করে শেয়ার বাজার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বিকাশ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি কোনও অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীর সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে শেয়ার বাজারে সফল হতে সাহায্য করতে পারে:
• ছোট ছোট পদক্ষেপে শুরু করুন: একবারে প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করা বিপজ্জনক হতে পারে। ছোট ছোট পদক্ষেপে শুরু করুন এবং আপনার বিনিয়োগ অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ান।
ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সাথে ঝুঁকি জড়িত। আপনার বিনিয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং আপনি কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত তা নির্ধারণ করুন।
• ধৈর্য ধরুন: শেয়ার বাজারে লাভবান হতে সময় লাগে। ধৈর্য ধরুন এবং আপনার বিনিয়োগগুলির উপর ফোকাস করুন।

শেয়ার বাজার কি জানার জন্য বই :

শেয়ার বাজারের উপর বই

শেয়ার বাজারের উপর অনেকগুলি বই রয়েছে যা নতুন এবং অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এখানে কিছু জনপ্রিয় বই রয়েছে যা আপনি বিবেচনা করতে পারেন:
শেয়ার বাজারের হাতেখড়ি,
এই বইটি শেয়ার বাজারের মৌলিক ধারণাগুলিকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে। এটি শেয়ার কেনা এবং বিক্রি করার প্রক্রিয়া, শেয়ার মূল্য নির্ধারণের কারণ, এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে আলোচনা করে।
শেয়ার বাজারে টিকে থাকার কৌশল,
এই বইটি শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলগুলি অন্বেষণ করে। এটি ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ, টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ, এবং বিনিয়োগের মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করে।
শেয়ার বাজারে সফল বিনিয়োগ
এই বইটি শেয়ার বাজারে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞানগুলিকে অন্বেষণ করে। এটি শেয়ার বিশ্লেষণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, এবং আর্থিক পরিসংখ্যানের মূল ধারণাগুলি সম্পর্কে আলোচনা করে।
এছাড়াও, আপনি আপনার শেয়ার বাজারের আগ্রহের উপর নির্ভর করে আরও নির্দিষ্ট বই খুঁজে পেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি নির্দিষ্ট একটি শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনি সেই শিল্পে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা লেখা একটি বই খুঁজে পেতে পারেন।
শেয়ার বাজার কি জান্তে বই নির্বাচন করার সময়, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করুন:
আপনার বিনিয়োগের অভিজ্ঞতার স্তর: যদি আপনি একজন নতুন বিনিয়োগকারী হন, তাহলে একটি মৌলিক বই একটি ভাল জায়গা দিয়ে শুরু করার জন্য।
আপনার আগ্রহের ক্ষেত্র: আপনি যদি নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন, তাহলে সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা লেখা একটি বই খুঁজুন।
লেখকের যোগ্যতা: বইটি একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বা বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা লেখা হয়েছে তা নিশ্চিত করুন।
শেয়ার বাজারের বই পড়া একটি দুর্দান্ত উপায় শেয়ার বাজার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান এবং দক্ষতা বিকাশ করতে।

শেয়ার বাজার থেকে নিয়মিত আয়ের উপায় ?

শেয়ার বাজার থেকে নিয়মিত আয়ের জন্য, আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ কৌশল অনুসরণ করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, শেয়ারের দাম ওঠানামা করলেও আপনি সামগ্রিকভাবে লাভবান হতে পারেন।
শেয়ার বাজার থেকে নিয়মিত আয়ের জন্য এখানে কিছু উপায় রয়েছে:
ডিভিডেন্ড শেয়ারে বিনিয়োগ করুন: ডিভিডেন্ড হল একটি কোম্পানি তার শেয়ারহোল্ডারদের দেওয়া আয়ের অংশ। ডিভিডেন্ড শেয়ারগুলি সাধারণত লভ্যাংশ প্রদান করে, যা আপনাকে নিয়মিত আয়ের উৎস প্রদান করতে পারে।
ইনডেক্স ফান্ডে বিনিয়োগ করুন: ইনডেক্স ফান্ডগুলি হল শেয়ার বাজারের একটি নির্দিষ্ট অংশের প্রতিনিধিত্বকারী শেয়ারগুলির একটি ঝুড়ি। ইনডেক্স ফান্ডগুলি সাধারণত ডিভিডেন্ড প্রদান করে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য একটি ভাল বিকল্প।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করুন: মিউচুয়াল ফান্ডগুলি হল পেশাদার বিনিয়োগকারীদের দ্বারা পরিচালিত বিনিয়োগ তহবিল। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি বিভিন্ন ধরণের বিনিয়োগ অফার করে, যার মধ্যে রয়েছে ডিভিডেন্ড শেয়ার, ইনডেক্স ফান্ড এবং অন্যান্য।
শেয়ার বাজার থেকে নিয়মিত আয়ের জন্য, আপনাকে অবশ্যই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার নীতিগুলি অনুসরণ করতে হবে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সাথে ঝুঁকি জড়িত, তাই আপনি আপনার বিনিয়োগগুলিকে বিস্তৃত করতে এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগে বিনিয়োগ করতে চাইবেন।
এখানে শেয়ার বাজার থেকে নিয়মিত আয়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট টিপস রয়েছে:
• আপনার বিনিয়োগ লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতা নির্ধারণ করুন। আপনি কেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন এবং আপনি কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
• শেয়ার বাজার কি সম্পর্কে যতটা সম্ভব শিখুন। শেয়ার বাজার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বিকাশ করা আপনাকে আরও সচেতন বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
ধৈর্য ধরুন। শেয়ার বাজারে লাভবান হতে সময় লাগে। আপনি যদি দ্রুত ধনী হতে চান তবে শেয়ার বাজার আপনার জন্য সঠিক জায়গা নয়।
শেয়ার বাজার থেকে নিয়মিত আয়ের জন্য, আপনাকে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।

শেয়ার বাজার কি এবং শেয়ার ট্রেডিং সফলতার জন্য এখানে কিছু কৌশল :

শেয়ার ট্রেডিং সফলতার জন্য এখানে কিছু কৌশল রয়েছে:
• আপনার বিনিয়োগ লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতা নির্ধারণ করুন। আপনি কেন শেয়ার বাজারে ট্রেড করছেন এবং আপনি কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

• শেয়ার বাজার সম্পর্কে যতটা সম্ভব শিখুন। শেয়ার বাজার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বিকাশ করা আপনাকে আরও সচেতন ট্রেডিং সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

• একটি ট্রেডিং পদ্ধতি তৈরি করুন এবং এটি অনুসরণ করুন। আপনার ট্রেডিং পদ্ধতিটি আপনার বিনিয়োগ লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।

• ধৈর্য ধরুন। শেয়ার বাজারে লাভবান হতে সময় লাগে। আপনি যদি দ্রুত ধনী হতে চান তবে শেয়ার ট্রেডিং আপনার জন্য সঠিক জায়গা নয়।

এখানে কিছু নির্দিষ্ট টিপস রয়েছে যা আপনাকে শেয়ার ট্রেডিংয়ে সফল হতে সাহায্য করতে পারে:
• ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ এবং টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ উভয়ের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন। ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ আপনাকে কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে এবং টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ আপনাকে শেয়ারের দামের সম্ভাব্য গতিবিধিগুলি অনুমান করতে সাহায্য করবে।

• আপনার ট্রেডগুলিতে স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার আপনাকে আপনার ট্রেডগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

• আপনার লাভ এবং ক্ষতি ট্র্যাক করুন। আপনার লাভ এবং ক্ষতি ট্র্যাক করা আপনাকে আপনার ট্রেডিং কৌশলের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে সহায়তা করবে।
শেয়ার ট্রেডিং একটি জটিল বিষয় এবং সফল হতে সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে। এই কৌশলগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার শেয়ার ট্রেডিং সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারেন।

এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা আপনাকে শেয়ার ট্রেডিংয়ে সফল হতে সাহায্য করতে পারে:
• একজন অভিজ্ঞ ট্রেডারের সাথে পরামর্শ করুন। একজন অভিজ্ঞ ট্রেডার আপনাকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে শেখা এবং আপনার নিজের ট্রেডিং কৌশল তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

• ট্রেডিং সিমুলেটর ব্যবহার করুন। ট্রেডিং সিমুলেটর আপনাকে বাস্তব অর্থের সাথে ট্রেড করার আগে আপনার ট্রেডিং কৌশলগুলি অনুশীলন করতে দেয়।

• নিজেকে আপ টু ডেট রাখুন। শেয়ার বাজার ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়, তাই আপনাকে সর্বশেষ তথ্য এবং ট্রেডিং কৌশলগুলি সম্পর্কে আপ টু ডেট থাকতে হবে।
শেয়ার ট্রেডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপ। আপনি আপনার অর্থ হারাতে পারেন। আপনি যদি শেয়ার ট্রেডিংয়ে আগ্রহী হন তবে আপনাকে ঝুঁকি বুঝতে হবে এবং সাবধানে আপনার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আটটি বিষয় মেনে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করলে আসবে সফলতা !


0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *